যাকাত সম্প্রসারণ কার্যক্রম

জাকাত আন্দোলনে রূপ নেবে যদি সবাই একটু একটু এগিয়ে আসি-হাবের ইফতার মাহফিলে অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের দেশের মানুষ ইনকাম ট্যাক্স কম দেন, তেমনিভাবে অনেকে সক্ষম হলেও জাকাত ঠিকমতো আদায় করেন না। আমাদের ওপর হজ যেমন ফরজ তেমনি জাকাতও যাদের সম্পদ আছে তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। আমি বিশ্বাস করি, জাকাত একটি আন্দোলনের রূপ নেবে যদি আমরা সবাই এগিয়ে আসি।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর ইফতার ও দোয়া মাহফিলে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো: আবদুল্লাহ ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী।
হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সভাপতিত্বে ও মহাহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রমানের সঞ্চালনায় রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন হলে ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, ধর্ম সচিব মো: আনিছুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জহির আহমেদ, আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম, হাবের সাবেক সভাপতি মো: ফারুক, আব্দুশ শাকুর, মো: ইব্রাহীম বাহার, সহসভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, মো: ইব্রাহীম, সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওযার, ফরিদ আহমেদ মজুমদার, সাবেক মহাসচিব এম এ রশীদ শাহ স¤্রাট, হাবের অর্থসচিব মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা, চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান মো: শাহ আলম প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী জাকাতের ব্যাপারে আরো বলেন, হজ এজেন্সির যারা আছেন আপনারা তো হজের কাজ করবেনই, আমার অনুরোধ হচ্ছে পাশাপাশি কারা জাকাত দেবেন, কিভাবে যাকাত দেবে তা শিখিয়ে দেবেন। জাকাত দিলে সম্পদ সঠিক হয়। আল্লাহ সম্পদে বরকত দেন। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, গরিবদের আমাদের সম্পদের ওপর হক রয়েছে। এ হক যেন পূরণ করতে পারি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে প্রতি বছরই হজের সময় খারাপ অবস্থা দেখতাম। কিছু লোক যেতে পারছেন না, ফ্লাইট নেই, এজেন্সি মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না ইত্যাদি নানা সমস্যা। এখন এ সমস্যাগুলো আর নেই। তিনি হজ এজেন্সিগুলোকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা অত্যন্ত সুন্দরভাবে হজ ওমরাহ ব্যবস্থাপনার কাজ করে আসছেন। প্রত্যেক মানুষের জীবনের ইচ্ছা থাকে একবার বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করার এবং রাসূল সা:-এর রওজা জিয়ারাত করার। আসুন সবাই প্রার্থনা করি আমাদের কারো যেন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও রওজা জিয়ারত ছাড়া মৃত্যু না হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, হজের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদর সরাসরি নির্দেশনা দেন যেন প্রতিবছর শুদ্ধভাবে হজ আদায় হয়। তিনি এ ব্যাপারে সব সময় খোঁজ-খবর রাখেন, যা করণীয় করার নির্দেশ দেন। আমিও আমার ওপর কোনো দায়িত্ব এলে তা পরিপালন করব।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় যেখানে যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব। আজও (গতকাল) প্রধানমন্ত্রীর সাথে হজ নিয়ে আমার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তিনি প্রি-ডিপার্টচার ইমিগ্রেশনের ব্যাপারে বলেছেন যেন এ ব্যাপারে আমরা শক্তভাবে অগ্রসর হই। কোনোভাবেই এটা যেন না পেছায়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছর যদি সুন্দরভাবে হজ সম্পন্ন হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী হজ অ্যাজেন্সিগুলের সৌজন্যে গণভবনে ডিনারের আয়োজন করবেন।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রি-ডিপার্টচার ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থাসহ অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। আশাকরি এবারের হজ সফল হবে। হজ ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। এ বছর হজে বিমানের টিকিট নিয়েও কোনো সমস্যা নেই।
সভাপতির বক্তব্যে এম শাহাদাত তসলিম বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা একটি কঠিন কাজ। একই সময়ে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে মক্কা, মিনা, আরাফাহ মুজদালিফায় হাজীদের সেবা প্রদান করতে হয়। একসাথে অনেক লোকের ব্যবস্থাপনা করতে গেলে কিছু ত্রুটি হতেই পারে। কিন্তু এজন্য এজেন্সিগুলোকে যেন ঢালাওভাবে অভিযুক্ত করা না হয়। কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই সে শাস্তি পাবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় তদন্তের নামে কোনো কোনো কর্মকর্তা এজেন্সিদের হয়রানি করেন। এটা যাতে না হয় এ জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তিনি বলেন, বিমান ভাড়া কমানো হলেও এখনো কাক্সিক্ষত জায়গায় আসেনি। এ ভাড়া আরো কমাতে হবে। এজন্য উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে অন্য এজেন্সিগুলোকে সুযোগ দেয়া উচিত। তিনি হজ ব্যবস্থপনায় বিশাল অংকের আর্থিক লেনদেনের কথা উল্লেখ করে এ খাতের জন্য আলাদা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এর আগে হাবের ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা একই হলে অনুষ্ঠিত হয়। হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেনÑ হাবের সাবেক সভাপতি মো: ফারুক, মো: আবদুশ শাকুর, ইব্রাহীম বাহার, সাবেক সহসভাপতি গোলাম সরোয়ার, সাবেক মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ প্রমুখ। এ ছাড়াও হাবের সদস্যদের সদস্যদের জন্য আয়োজিত কিরাত ও আজান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন হাবের নেতারা।

উৎস: দৈনিক নয়া দিগন্ত

প্রকাশ : ২৬ মে, ২০১৯

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

ফেইসবুক
টুইটার
ইমেইল

স্বর্ণ এবং রৌপ্যের
বর্তমান বাজার মূল্য

আইটেমের নাম টাকা/ভরি টাকা/গ্রাম
স্বর্ণ ২২ ক্যারেট ৮৭,২৪৭ ৭৪৮০
স্বর্ণ ২১ ক্যারেট ৮৩,২৮১ ৭১৪০
স্বর্ণ ১৮ ক্যারেট ৭১,৩৮৪ ৬১২০
রৌপ্য ২১ ক্যারেট ১,৪৩৫ ১২৩
উৎস / সূত্র: বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি

অনুসন্ধান