যাকাত সম্প্রসারণ কার্যক্রম

ব্লগ

আমরা মনে করি, যাকাত চর্চা সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে এর অসংখ্য তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক দিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এই গবেষণার একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হচ্ছে যাকাত বিষয়ক প্রবন্ধ/নিবন্ধ রচনা। আমরা চাই বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় বিশেষ করে বাংলা ভাষায় যাকাতের উপর বহু সংখ্যক লেখক সৃষ্টি হোক এবং তাদের থেকে প্রচুর মান সম্পন্ন লেখা বেরিয়ে আসুক। এ বিষয়টিকে কার্যকর ভাবে উৎসাহিত করার জন্য আমরা এখানে যাকাত বিষয়ক বিভিন্ন রচনা উপস্থাপন করবো। এগুলো আমরা নিজেরা সংগ্রহ করবো। তাছাড়া কোন আগ্রহী লেখক তাঁর লেখা প্রবন্ধ/নিবন্ধ সরাসরি আমাদের কাছে পাঠাতে পারবেন। উভয় ক্ষেত্রেই উপস্থাপনের পূর্বে রচনার মানের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তবে লেখার বক্তব্যের ব্যপারে লেখক নিজে দায়ী থাকবেন। সংগৃহীত কোন লেখা বিনা অনুমতিতে উপস্থাপনের ব্যপারে লেখকের আপত্তি থাকলে তা আমাদেরকে অবগত করার অনুরোধ রইল। আমরা সজ্ঞানে কোন অনুমতি সাপেক্ষ রচনা বিনা অনুমতিতে আমাদের এই সাইটে উপস্থাপন করবো না।

আর্টিকেল সমূহ

সকল আর্টিকেল এর লিস্ট একসাথে দেখতে এইখানে ক্লিক করুন

সম্পদ পরিশুদ্ধ ও দারিদ্র্য বিমোচন করে যাকাত

যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এটি ইসলামী অর্থনীতির অন্যতম উপাদান। কোরআনে কারীমের ৩০টি আয়াতে যাকাতের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি আয়াতে নামাজের সঙ্গে সঙ্গে এবং দুটি আয়াতে স্বতন্ত্রভাবে।

যাকাত শব্দটির অর্থ পবিত্রকরণ, পরিশুদ্ধকরণ, ক্রমবৃদ্ধি, আধিক্য ইত্যাদি। আর ইসলামী পরিভাষায়- ধনীদের সম্পদে আল্লাহর নির্ধারিত দেয় অংশ যাকাত। বস্তুত যাকাত হচ্ছে সম্পদশালীদের সম্পদে আল্লাহ নির্ধারিত সেই ফরয অংশ যা সম্পদ ও আত্মার পবিত্রতা অর্জন, সম্পদের ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং সর্বোপরি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নির্ধারিত খাতে ব্যয় বণ্টন করার জন্য দেয়া হয়।

বিস্তারিত পড়ুন »

সদকাতুল ফিতর

সাদকাতুল ফিতর মুসলিম নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, আজাদ-গোলাম সকলের উপর ওয়াজিব। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে আজাদ, গোলাম, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকল মুসলিমের উপর এক সা’ খেজুর, বা এক সা’ যব সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন। পেটের বাচ্চার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর দেয়া ওয়াজিব নয়, কিন্তু কেউ যদি আদায় করে, তাহলে নফল সদকা হিসেবে আদায় হবে। ওসমান রাদিআল্লাহু আনহু পেটের বাচ্চার পক্ষ থেকে সদকায়ে ফিতর আদায় করতেন। ফিতরা নিজের পক্ষ থেকে এবং নিজের পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে আদায় করবে। যেমন স্ত্রী ও সন্তান। যদি তাদের নিজস্ব সম্পদ থাকে তবে তাদের সম্পদ থেকেই সদকাতুল ফিতর আদায় করবে।

বিস্তারিত পড়ুন »

এক নজরে সদকাতুল ফিতর

ইবনে আব্বাস রা. একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি। তখন ইবনে আব্বাস রা. বললেন, এখানে মদীনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল সা. এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজীব। (আবু দাউদ : ১৬২২)

বিস্তারিত পড়ুন »

যাকাত না দেওয়ার পরিণাম

যাকাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। ঈমান ও ছালাতের পরেই যাকাতের স্থান। মহান আল্লাহ পৃথিবীর মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির জন্য যাকাত ফরয করেছেন। পবিত্র কুরআনে ৩২ জায়গায় যাকাত আদায় করার ব্যাপারে আলোচনা এসেছে। যাকাত না দিলে সম্পদ শুধু ধনীদের কাছে জমা হয়। ফলে সমাজে অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয় এবং ধনীরা ও সূদখোররা জোঁকের মত সমাজের রক্ত শোষণ করে নিজে বড় হয়, আর সমাজকে রক্তহীন করে দেয়। তাই পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যাকাত না দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাকাত না দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ-

বিস্তারিত পড়ুন »

দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা

দারিদ্র ও প্রাচুর্য দু’টি বিপরীতধর্মী শব্দ কিন্তু মানব জীবনে দু’টিই জড়িয়ে আছে অন্ধকার এবং আলোর মত। এইতো প্রাচুর্যের ছন্দময় উপস্থিতি আবার কিছু সময় পরই দারিদ্রের সেই অনাকাংখিত ভয়াল থাবা। কারো কারো জন্য প্রাসাদোপম আলীশান বাড়ী। বিলাম বহুল গাড়ীসহ সুখের সব রকম সরঞ্জামাদির বিপুল সমাহার। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে  হাড় ভাঙ্গা খাটুনি পরিশ্রমের পরও দু’মুঠু ভাতের নিশ্চয়তা নেই, নেই মাথা গোজার একটু ঠাঁই। দু’টিু অবস্থাই প্রজ্ঞাময় মহামহীমের রহতমতায় সৃষ্টি। সম্ভবত ইবাদতের দু’টি অনুপত ধারা সৃষ্টিই এর মুল রহস্য। একটি সবর অন্যটি শুকর। দু’টিই আল্লাহ তাআালার বিশেষ ইবাদাত। দু’টির মাধ্যমেই রয়েছে মহামহীম রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য অর্জনের সুনিপুন ব্যবস্থা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

বিস্তারিত পড়ুন »

ইসলামী অর্থনীতিতে যাকাতের ভূমিকা ও যাকাতের খুঁটিনাটি

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর বছরের মাঝে যদি সম্পদের পরিমাণ নেসাব থেকে কমে আসে, কিন্তু যাকাত হিসাব করার তারিখে নেসাব অটুট থাকে, তাহলে যাকাত আদায় করতে হবে। যেমন, কেউ রমজানের এক তারিখে তিন লাখ টাকার মালিক হলো। তাহলে সোনার নেসাব অনুসারে সে সাহিবে নেসাব বলে গণ্য হবে। কিন্তু দু মাস পরেই তার পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় হয়ে গেল। এখন দেখতে হবে যাকাত হিসাব করার তারিখে, অর্থাৎ পরের বছর রমজানের এক তারিখে তার কাছে কত টাকা আছে। যদি তিন লাখ বা তদুর্ধ্ব হয়, তাহলে যাকাত আদায় করতে হবে। যদি নেসাব থেকে কম হয়, তাহলে যাকাত আদায় করতে হবে না। পরবর্তীতে আবার যেদিন নেসাবের মালিক হবে, সেদিন থেকে এক বছর হিসাব করতে হবে।

বিস্তারিত পড়ুন »

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

ফেইসবুক
টুইটার
ইমেইল

স্বর্ণ এবং রৌপ্যের
বর্তমান বাজার মূল্য

আইটেমের নাম টাকা/ভরি টাকা/গ্রাম
স্বর্ণ ২২ ক্যারেট ১৩৮,৭০৮ ১১,৮৯২
স্বর্ণ ২১ ক্যারেট ১৩২,৩৯৮ ১১,৩৫১
স্বর্ণ ১৮ ক্যারেট ১১৩,৪৯১ ৯,৭৩০
রৌপ্য ২১ ক্যারেট ২,০০৭ ১৭২

অনুসন্ধান