আমরা মনে করি, যাকাত চর্চা সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে এর অসংখ্য তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক দিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এই গবেষণার একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হচ্ছে যাকাত বিষয়ক প্রবন্ধ/নিবন্ধ রচনা। আমরা চাই বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় বিশেষ করে বাংলা ভাষায় যাকাতের উপর বহু সংখ্যক লেখক সৃষ্টি হোক এবং তাদের থেকে প্রচুর মান সম্পন্ন লেখা বেরিয়ে আসুক। এ বিষয়টিকে কার্যকর ভাবে উৎসাহিত করার জন্য আমরা এখানে যাকাত বিষয়ক বিভিন্ন রচনা উপস্থাপন করবো। এগুলো আমরা নিজেরা সংগ্রহ করবো। তাছাড়া কোন আগ্রহী লেখক তাঁর লেখা প্রবন্ধ/নিবন্ধ সরাসরি আমাদের কাছে পাঠাতে পারবেন। উভয় ক্ষেত্রেই উপস্থাপনের পূর্বে রচনার মানের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তবে লেখার বক্তব্যের ব্যপারে লেখক নিজে দায়ী থাকবেন। সংগৃহীত কোন লেখা বিনা অনুমতিতে উপস্থাপনের ব্যপারে লেখকের আপত্তি থাকলে তা আমাদেরকে অবগত করার অনুরোধ রইল। আমরা সজ্ঞানে কোন অনুমতি সাপেক্ষ রচনা বিনা অনুমতিতে আমাদের এই সাইটে উপস্থাপন করবো না।
ইসলামী অর্থনীতিতে যাকাতের ভূমিকা ও যাকাতের খুঁটিনাটি
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর বছরের মাঝে যদি সম্পদের পরিমাণ নেসাব থেকে কমে আসে, কিন্তু যাকাত হিসাব করার তারিখে নেসাব অটুট থাকে, তাহলে যাকাত আদায় করতে হবে। যেমন, কেউ রমজানের এক তারিখে তিন লাখ টাকার মালিক হলো। তাহলে সোনার নেসাব অনুসারে সে সাহিবে নেসাব বলে গণ্য হবে। কিন্তু দু মাস পরেই তার পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় হয়ে গেল। এখন দেখতে হবে যাকাত হিসাব করার তারিখে, অর্থাৎ পরের বছর রমজানের এক তারিখে তার কাছে কত টাকা আছে। যদি তিন লাখ বা তদুর্ধ্ব হয়, তাহলে যাকাত আদায় করতে হবে। যদি নেসাব থেকে কম হয়, তাহলে যাকাত আদায় করতে হবে না। পরবর্তীতে আবার যেদিন নেসাবের মালিক হবে, সেদিন থেকে এক বছর হিসাব করতে হবে।