উত্তরঃ- প্রিমিয়াম স্বরূপ বীমার হিসাবে যে অর্থ প্রদান করা হয় বীমা চূক্তির শর্তানুযায়ী তা ফেরত পাওয়ার সুযোগ না থাকলে সেই অর্থের যাকাত দিতে হয় না। তবে প্রিমিয়ামে জমা দেয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকলে প্রিমিয়ামে জমা দেয়া অর্থের যাকাত দিতে হয়। শরীয়তে এমন বীমা বৈধ নয়, যে বীমাতে সুদ, প্রতারণা বা অজ্ঞাত লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কাজেই কোন বীমাচূক্তির ফলস্বরূপ প্রিমিয়ামে জমা দেয়া অর্থের অতিরিক্ত কোন টাকা পাওয়া গেলে সেই অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ সুদ হিসাবে বিবেচিত হয় বিধায় সেই অতিরিক্ত টাকার যাকাত দেওয়া বৈধ নয়। কারণ হারাম সম্পদের উপর যাকাত নেই। তবে বীমায় প্রদত্ত প্রিমিয়ামের মূল টাকা যদি নিসাব পরিমাণ হয় এবং তাতে এক চান্দ্র বৎসর অতিক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে এই মূল টাকার উপর (তা ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকা সাপেক্ষে) শতকরা আড়াই ভাগ হারে যাকাত দিতে হবে। (২)
(১) ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা-৬৮-৭০।
(২) ফাতাওয়ায়ে উসমানী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৭১।