উত্তর :
ইতিপূর্বে কিছু ফতোয়ায় বলা হয়েছে যে এটি কট পদ্ধতি। যাহা সম্পূর্ণ নাজায়েজ। ঋন দাতার জন্য সেই জমি আবাদ করে খাওয়া স্পষ্ট সুদ, হারাম।
এখন যাকাতের মাসয়ালা হলো সেই টাকার উপরেও যাকাত ফরজ হবে। তবে টাকা যেহেতু আপনার হাতে নেই,তাই যেদিন আপনার হাতে আসবে,সেদিন বিগত বছর গুলোরও হিসেব করে যাকাত দিতে হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত টাকার উপর করজ দেওয়ার বিধানের ন্যায় হুকুম আরোপ হবে।
শরীয়তের বিধান হলো অন্যকে যে টাকা কর্জ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বা ব্যবসায়ী কোনো পণ্য বাকিতে বিক্রয় করেছে এই পাওনা টাকা পৃথকভাবে বা অন্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে মিলিতভাবে নিসাব পূর্ণ করলে তারও যাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৪৮৪-৪৮৬)
পাওনা উসূল হওয়ার পর ওই টাকার যাকাত আদায় করা ফরয হয়। তার আগে আদায় করা জরুরি নয়, তবে আদায় করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা)
উপরোক্ত ক্ষেত্রে পাওনা উসূল হতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সকল বছরের যাকাত আদায় করা ফরয হয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা)