উত্তরঃ- স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব বিশ মিসক্বাল আর রৌপ্যের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব দুইশত দিরহাম। সেই হিসাবে সোনার যাকাতের নিসাব ৭.৫ তোলার সমপরিমাণ ৮৭.৪৮ গ্রাম সোনা এবং রূপার যাকাতের নিসাব ৫২.৫ তোলার সমপরিমাণ ৬১২.৩৪ গ্রাম রূপা এবং নগদ অর্থ বা মূদ্রা (টাকা, ডলার, পাউন্ড ইত্যাদি) ও ব্যবসাপণ্যের যাকাতের নিসাব ৬১২.৩৪ গ্রাম রূপার সমমূল্যের মূদ্রা বা ব্যবসাপণ্য। যদি সোনা-রূপা, মূদ্রা কিংবা ব্যবসাপণ্য – এগুলোর কোন একটি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের মধ্যে একাধিক সামগ্রী একত্রিত করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমমূল্য বা তার চেয়ে অধিক হয়, তাহলে এরূপ ক্ষেত্রে সকল প্রকার সম্পদের মূল্যকে একত্রিত করে মোট মূল্যের উপর শতকরা আড়াই ভাগ হারে যাকাত আদায় করতে হয়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য আশি টাকা হওয়ায় ৬১২.৩৪ গ্রাম রূপার মোট মূল্য ৪৮,৯৮৭.২০ (আটচল্লিশ হাজার নয়শত সাতাশি টাকা বিশ পয়সা) টাকা বা তার সমমূল্যের সোনা-রূপা-ব্যবসাপণ্য পূর্ণ এক চান্দ্র বৎসর সংগ্রহে থাকলে যাকাত দেওয়া লাগবে। অর্থাৎ, ৪৮,৯৮৭.২০ (আটচল্লিশ হাজার নয়শত সাতাশি টাকা বিশ পয়সা) টাকার চেয়ে কম টাকা বা কমমূল্যের সোনা-রূপা-ব্যবসাপণ্য পূর্ণ এক চান্দ্র বৎসর সংগ্রহে থাকলেও যাকাত ফরয় হয় না। উল্লেখ্য, হাতে থাকা সোনা-রূপা-ব্যবসাপণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করলে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যাবে সেই পরিমাণ টাকাই হলো ঐ সোনা-রূপা ও ব্যবসাপণ্যের মূল্য।
১) ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা-৬৮-৭০।
(২) ফাতাওয়ায়ে উসমানী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৭১।