যাকাত সম্প্রসারণ কার্যক্রম

সপ্তম জাকাত ফেয়ার ২০১৯ এ পরিকল্পনামন্ত্রী ‘সমাজের কেউ যেন বঞ্চিত না হয়’

দেশে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বৈষম্যও বাড়ছে। বর্তমান সরকার দারিদ্র্য বিমোচনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্যে দেশের সকল নাগরিকের ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি এবং সুযোগের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। সমাজের কাউকে আমরা বঞ্চিত করতে চাই না। সমতাভিত্তিক দেশ গড়ে তুলতে চাই।

শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত সপ্তম জাকাত ফেয়ার ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশে জাকাত ফেয়ার হয় কিন্তু অন্য দেশে হয় কি-না জানি না। কর মেলা করে আমরা উপকৃত হয়েছি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দারিদ্র্যের সীমা কমিয়েছে।

সিজেডএমের জিনিয়াস বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা ন্যায়ের পক্ষে লড়বে। অন্যায়ের সাথে আপস করবে না। এ ছাড়া বক্তব্যের শেষে মন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব হতদরিদ্র মানুষের প্রতি সমবেদনা জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, সিস্টেম পরিবর্তন করতে না পারলে দরিদ্রতা কমবে না। মানবিক মূল্যবোধ জাগলে মানুষ ইচ্ছা করেই জাকাত দেবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি এম মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আয় বৈষম্য হ্রাসে শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয় টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। পরোক্ষ কর বৈষম্য বাড়ায়। করের মধ্যে আমূল পরিবর্তন না আসলে আয় বৈষম্য কমানো সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষিতে জাকাতের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের (সিজেডএম) চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম স্বাগত বক্তব্য এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সহযোগী অধ্যাপক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ড. মানজুরে ইলাহী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল সরকার, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সবুর খান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রমুখ আলোচনা করেন।

উৎস: কালের কণ্ঠ
প্রকাশ : ৪ মে, ২০১৯ ইং

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

ফেইসবুক
টুইটার
ইমেইল

স্বর্ণ এবং রৌপ্যের
বর্তমান বাজার মূল্য

আইটেমের নাম টাকা/ভরি টাকা/গ্রাম
স্বর্ণ ২২ ক্যারেট ৮৭,২৪৭ ৭৪৮০
স্বর্ণ ২১ ক্যারেট ৮৩,২৮১ ৭১৪০
স্বর্ণ ১৮ ক্যারেট ৭১,৩৮৪ ৬১২০
রৌপ্য ২১ ক্যারেট ১,৪৩৫ ১২৩
উৎস / সূত্র: বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি

অনুসন্ধান