যাকাত সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের ‘যাকাত কনফারেন্স’
ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৬
যাকাত সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের ‘যাকাত কনফারেন্স’
যাকাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাস্তুল ফাউন্ডেশন এবং আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ‘যাকাত কনফারেন্স ২০২৪’। গত সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশিষ্ট ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, যাকাত বিশেষজ্ঞ, সমাজসেবী, এবং সাধারণ মানুষ।
এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য যাকাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের মধ্যে যাকাত বিতরণের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করা এবং যাকাতের অনুশীলন প্রচার করা।
তিন অধিবেশনে বিভক্ত এ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বিশিষ্ট ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা যাকাতের গুরুত্ব এবং এর ফজিলত সম্পর্কে বক্তব্য দেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে যাকাত প্রদানের সঠিক পদ্ধতি এবং দরিদ্র ও অভাবী মানুষের মধ্যে যাকাত বিতরণের কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তৃতীয় অধিবেশনে, যাকাত প্রদান জনসাধারনের মাঝে কিভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। দর্শক সারি থেকে অনেকেই যাকাত নিয়ে তাদের প্রশ্ন করেন, আলোচকরা তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
সম্মেলনে আলোচক এবং অতিথি ছিলেন শাইখ মুফতি সাইফুল ইসলাম, ইমাম ও খতিব মসজিদ-উত-তাকওয়া; মুফতি ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী ইসলামিক স্কলার ও গবেষক; ডা. মাহমুদ হাসান, ইসলামিক স্কলার ও অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর; নিয়াজ রহিম, চেয়ারম্যান সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট; ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, সিইও, সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট; ড. মিজানুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক সিএসপিএস; মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান; ড. মু. মহিউদ্দিন আহ্মদ; মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (যুগ্মসচিব) বিআরটিএ; কাওছারুল ইসলাম সিকদার, অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ; এসডি খান, মুস্তফা জুহায়ের, প্রফেসর ড. গোলাম নবি; মুফতী গাজী সানাউল্লাহ রাহমানীসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, যাকাত কেবল অর্থ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি সামাজিক ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মুফতি ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, যাকাত সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালাতে পারে।
নিয়াজ রহিম বলেন “যাকাত নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যাকাত নিয়ে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসা উচিত। মাস্তুল ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাদের আমরা সর্বদা সহযোগিতা করবো।
সিজেডএম এর সিইও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া বলেন, যাকাত প্রদানের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পদের পবিত্রতা রক্ষা করতে পারি।
মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, যাকাত কনফারেন্সের আসল উদ্দেশ্য হলো সবার মাঝে যাকাত নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সবাইকে যাকাত প্রদানে উৎসাহ দিতে আমরা কাজটি করে যাবো সবসময়।
এ সম্মেলনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশন, সেন্ট্রাল ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, রেডি বাংলাদেশসহ অনেকেই।