যাকাত নির্ধারণের লক্ষ্যে ট্যাক্স ক্যালকুলেটরের ন্যায় যাকাত ক্যালকুলেটর প্রস্তুত করার উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান। বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও সভাকক্ষে আয়োজিত ‘যাকাত ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ‘যাকাত দারিদ্র্য নিরসনের মাধ্যম’ শিরোনামে পাওয়ার পয়েন্ট প্রদর্শন করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। ধর্মসচিব অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যাকাত নির্ধারণের লক্ষ্যে ট্যাক্স ক্যালকুলেটরের ন্যায় যাকাত ক্যালকুলেটর প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ১৯৮২ সালে প্রণীত যাকাত অর্ডিন্যান্স সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাকাত ও উশর মিলিয়ে একটি নতুন আইন করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, সরকারিভাবে যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে, যাতে সরকারি যাকাত ফান্ডে মানুষ অধিক হারে যাকাত প্রদান করে। সঠিকভাবে যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ করতে পারলে দারিদ্র্য নিরসন অনেকাংশে সম্ভব যা এসডিজি অর্জনে সহায়ক হবে। যাকাত সংগ্রহ করতে গিয়ে মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়, যা ধর্ম ও মানবতা বিরোধী। সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ‘যাকাত কোনক্রমেই কর বা ট্যাক্স নয়। কর প্রদান করা হয় সরকারকে, কিন্তু যাকাত হচ্ছে কুরআনের বিধান যা মুসলমানদের জন্য ফরয ইবাদত।’তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল জমি উশরী। উশরের মাধ্যমে যাকাত আদায় করলে ২৮-৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় যাকাত অর্ডিন্যান্সের সংশোধন ও হালনাগাদকরণ, যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ, দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা জোরদারকরণ ইত্যাদি বিষয়ে গ্রুপ ডিসকাশনের মাধ্যমে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এবিএম আমিন উল্যা নূরী, যুগ্ম-সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সচিব মো. জহির আহমদ, ওয়াকফ্ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রফেসর ড. মো. আবু বকর সিদ্দীক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উৎস: কালের কণ্ঠ
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮