যাকাত সম্প্রসারণ কার্যক্রম

জাকাত অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার একটি উপায়।

জাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। মানব কল্যাণের জন্য এর ভূমিকা অন্যতম। জাকাতের মাধ্যমে ধনীরা নিজেদের সম্পদে বিদ্যমান থাকা গরিব ও বঞ্চিতদের অধিকার হস্তান্তর করে। ফলে জাকাত দিলে ধনীদের সম্পদ পবিত্র হয়। মানব সমাজের অর্থনৈতিক ভারসাম্য সংরক্ষণে জাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম সম্পদের লাগামহীন সঞ্চয়কে নিয়ন্ত্রণ করে পুঁজিবাদের ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে সমাজকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আবার হালাল-হারামের শর্ত, বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থা, ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করে জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে এক সুবিচার ও ভারসাম্যমূলক অর্থনীতি উপহার দিয়েছে। ইসলাম সীমিত পর্যায়ে ব্যক্তিমালিকানাকে স্বীকার করে নিলেও সম্পদশালী ব্যক্তিদের থেকে রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য অভাবী মানুষের ব্যক্তিগত এবং সমাজের প্রয়োজন পূরণের জন্য ওই সঞ্চিত সম্পদের ৪০ ভাগের এক ভাগ জাকাত দেয়ার বাধ্যবাধকতা রেখেছে। অন্যথায় আল্লাহ দুনিয়ায় আইনগত শাস্তির সাথে পরকালীন কঠিন আজাবের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন (সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত : ৩৪-৩৫)।

জাকাত অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সংযত পদ্ধতি হলো ধনসম্পদ জমা ও সঞ্চয় করার জন্য নয়, বরং একে বণ্টন ও চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। জাকাত আদায়ের ফলে সম্পদ আবর্তিত হয়। আপাতদৃষ্টিতে জাকাত দিলে সম্পদ কমে যায় বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা বেড়ে যায়। সঠিকভাবে জাকাতকে ব্যবহার করতে পারলে দেশের আর্থসামাজিক পরিমণ্ডলে একটা তাৎপর্যপূর্ণ ও ইতিবাচক অবস্থা সৃষ্টি করা সম্ভব। এ ব্যাপারে অনেক গবেষণা হয়েছে যার আর্থসামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।

বর্তমান পৃথিবীর অশান্তির অন্যতম কারণ দারিদ্র্য। বিস্ময়কর বিষয় হলো, সম্পদের স্বল্পতা নয়, বরং দেশের কিছু শ্রেণীর মানুষের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত থাকাই দারিদ্র্যের অন্যতম কারণ। জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। মূলত কর্মহীন দরিদ্র লোকদেরই জাকাতের অর্থ দরকার সবচেয়ে বেশি। সাথে এটাও উপলব্ধি করা দরকার, এ ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার ফলে তারা যে সামান্য দ্রব্যসামগ্রী কিনতে সক্ষম হয়, তা শুধু তাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। এদের জন্য অতিরিক্ত কোনো পদক্ষেপ না নিলে কোনোভাবেই এরা দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠে আসতে পারবে না।

অপরপক্ষে কর্মরত দরিদ্রদের মধ্যেও অনেকে বিভিন্ন কারণে তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে কোনোক্রমেই সামনে এগোতে পারছে না। এসব লোকের জন্য চাই বিশেষ ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা, যাতে তারা পেশায় উৎপাদনের মাধ্যমে আয় বাড়াতে সক্ষম হয়। এদের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ, উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ে সাহায্য এবং প্রয়োজনীয় মূলধন জোগান দিতে হবে। জাকাতের অর্থের পরিকল্পিত ও যথাযথ ব্যবহার করা হলে উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা পড়বে। কয়েকটি দেশের সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, সেসব দেশে জাকাতের মাধ্যমে প্রতি বছর মোট দেশীয় আয়ের শতকরা তিন থেকে চার ভাগ পর্যন্ত ধনীদের কাছ থেকে দরিদ্রদের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে।

জাকাত কেন্দ্রীভূত সম্পদের ভাণ্ডারকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। অর্থাৎ মুষ্টিমেয় ব্যক্তির ভাণ্ডার থেকে বিপুল জনগোষ্ঠীর হাতে সম্পদ আবর্তিত হয়। সব ইসলামী অর্থনীতিবিদ একমত পোষণ করেছেন, জাকাত যদি যথাযথভাবে আদায় ও বণ্টিত হয়, তা হলে তা মুসলিম দেশগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নতির স্তর উন্নত হবে এবং বিরাজমান মারাত্মক আয় ও ধন বণ্টন বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, জাকাতের প্রভাবে ধনী-দরিদ্রের আয়ের পার্থক্য ৯ থেকে ৬.৫ গুণ কমে যায়। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, জাকাত প্রতি বছর সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র ১০ ভাগ জনগণের আয়কে দ্বিগুণ করে দেয়, কারণ এ অর্থের প্রায় পুরোটাই ধনীদের কাছ থেকে এসেছে এবং দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

গবেষণায় আরো দেখা যায়, ধনীদের তুলনায় দরিদ্রদের প্রান্তিক ভোগপ্রবণতা বেশ উঁচু। জাকাত যেহেতু ধনীদের থেকে দরিদ্রদের কাছে হস্তান্তরিত আয়, সেহেতু এ তথ্যের তাৎপর্য হলো- অর্থনীতিতে এ ধরনের ব্যয়ের ফলে সামাজিক ভোগব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। এসব দেশে ভোগপ্রবণতা নিঃসন্দেহে প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে অনুকূল প্রভাব বিস্তার করবে।
জাকাত ব্যক্তির সম্পদ অলসভাবে ফেলে রাখার ওপর এক ধরনের আর্থিক শাস্তি আরোপ করায় তাকে প্রকৃতপক্ষে সম্পদ উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার বা বিনিয়োগ করতে বাধ্য করে। এর নিট ফল সঞ্চয়ের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সুতরাং বলা যায়, ইসলাম কোনো ব্যক্তির সঞ্চয় অলসভাবে ফেলে রাখতে বলেনি।

রাসূল সা: নিজেও এর অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। সে জন্যই তিনি এতিমদের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণকারীদের তা বিনিয়োগ করতে বলেছেন, যেন জাকাত আদায়ের ফলে তা ধীরে ধীরে কমে না আসে। রাসূল সা:-এর এ নির্দেশ আমাদের সম্পদ অলসভাবে ফেলে রাখার চেয়ে বরং তা ব্যবহারের ফলে যা আয় হয়; তা থেকে জাকাত দেয়ার শিক্ষা দেয়।

জাকাতের মাধ্যমে যদি পর্যাপ্ত অর্থ পাওয়া যায়, তা হলে তা মুদ্রাস্ফীতি নিরোধক কৌশল হিসেবে অধিকতর কার্যকর হবে যদি উপযুক্ত বণ্টননীতি গৃহীত হয়। ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, মুদ্রাস্ফীতি চাপের সময়ে জাকাতের অর্থের বৃহত্তম অংশ মূলধনী পণ্য আকারে বিতরণ এবং মুদ্রা সঙ্কোচনের সময়ে ভোগ্যদ্রব্য বা নগদ আকারেই তা বিতরণের উদ্যোগ নেয়া উচিত। অবশ্য এটা একেকবার একেক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হবে।

সমাজের বিত্তশালী শ্রেণীর কাছ থেকে দরিদ্র শ্রেণীর কাছে জাকাতের মাধ্যমে স্বল্প হলেও ক্রয়ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটে। যেহেতু গরিব মানুষের ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেশি, সেহেতু এর ফলে দেশের সার্বিক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় এর সুপ্রভাব পড়বে বলে আশা করা যায়।
নিকট অতীতে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেও জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে এবং অশিক্ষা ও অপুষ্টিতে ভুগছে।

ধনী-গরিবের বৈষম্য দিনে দিনে মারাত্মক আকার ধারণ করছে। দেশের অনেকেরই ধারণা দারিদ্র্য বিমোচন একমাত্র সরকারি ও বিদেশী অনুদানের ওপর নির্ভরশীল। অনেক সমাজ হিতৈষী অবশ্য মনে করেন, নগদ অর্থের ব্যবস্থা থাকলে অভাবী জনসাধারণের ভাগ্য পরিবর্তন করা যেত। অথচ দেশে ৩০ হাজার কোটি টাকা জাকাত আদায় সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পুরো জাকাতের অর্থ এখনই আদায় না হলেও যে বিপুল অর্থ জাকাতের মাধ্যমে বিতরণ হয় তার সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত ব্যবহার হলেও লোকদের অবস্থার পরিবর্তন করা খুবই সম্ভব। অথচ, যে পরিমাণ জাকাত বিতরণ হয় তারও একটা বড় অংশ নগদ পাঁচ-দশ টাকা দেয়া অথবা শাড়ি-লুঙ্গি আকারে বিতরণের মাধ্যমে করে থাকেন। কখনো কখনো এতিমখানায় জাকাতের অর্থের কিছুটা দান করে থাকেন। অথচ এরাই যদি পরিকল্পিতভাবে এলাকার দুস্থ, বিধবা, সহায়-সম্বলহীন দুই একটি পরিবারকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য রিকশা, ভ্যান, নৌকা, সেলাই মেশিন কিংবা কয়েকটি ছাগল ইত্যাদি কিনে দিতেন, তা হলে ভিক্ষুক ও অভাবী পরিবারের সংখ্যা কমে আসত।

অবশ্য ইদানীং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলামী ব্যাংকগুলো সমাজে বিদ্যমান অসহনীয় দারিদ্র্য ও বেকারত্ব নিরসনকল্পে জাকাতের অর্থ পরিকল্পিতভাবে সংগ্রহ করে তহবিল গঠন এবং সেই তহবিল থেকেই দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কার্যপরিকল্পনা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইসলামী ব্যাংকগুলো নিজেদের তহবিলের জাকাত ছাড়াও তাদের গ্রাহকদের দেয়া জাকাত নিয়ে গড়ে তুলেছে জাকাত ফাউন্ডেশন। মূলত নগদ সাহায্য, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন এই তিনটি বৃহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই তহবিলের অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছে।
অনুরূপভাবে কোনো এলাকার বিত্তবান লোকজন যদি জাকাতের তহবিল গঠন করে গরিব মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়, তাহলেও গ্রামবাংলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হবে। নতুবা জাকাত সরকারি জাকাত ফান্ডে জমা দিতে হবে এবং সেখান থেকে জনকল্যাণের প্রয়োজনীয় কার্যকর ভূমিকা নিলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে।

সরকারের বাস্তবমুখী উদ্যোগ, প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর ভূমিকা ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার পাশাপাশি ১৭ কোটি জনতা অধ্যুষিত এ দেশে যারা সাহেবে নিসাব; তারা সবাই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে নিয়মিত জাকাতের অর্থ পরিকল্পিতভাবে ব্যয়ের জন্য উদ্যোগী হলে দেশে গরিব জনগণের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। সরকারের রাজস্ব ফান্ডও হবে সমৃদ্ধ আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি হবে আরো বিস্তৃত। এ জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছার ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার। তাই রাষ্ট্রের রাজস্ব আয় বাড়ানো আর জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরে জাকাতবিষয়ক ইসলামী অর্থনীতির শিক্ষা চালু করা; সর্বস্তরের মানুষের কাছে জাকাতভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরা; সব মুসলিম দেশে সরকারিভাবে জাকাত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

বর্তমানে জাকাত বোর্ড যে জাকাত আদায় করছে, তার পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা মাত্র। অথচ দেশে ৩০ হাজার কোটি টাকা জাকাত আদায় সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সুতরাং জাকাতকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও এগিয়ে আসতে হবে। এ রকম একটি সফল প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)’ জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগে দেশের এই সবচেয়ে বড় জাকাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি গত ৫ মে সপ্তম জাকাত মেলার আয়োজন করেছে, যা সাধারণ এবং বুদ্ধিজীবী মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আরো এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে দেশের অর্থনীতিতে জাকাত ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।

জাকাত সমসাময়িক স্কলারদের কাছে এখনো তেমন একটা গুরুত্ব পায়নি। সুতরাং আধুনিক জামানার অর্থনীতিবিদ, গবেষক, উন্নয়ন অংশীদার, আইন বিশেষজ্ঞ এবং শরিয়াহ স্কলারদের কাছে জাকাতের আইনকানুন আধুনিকভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে হবে। জনগণকে জাকাত ক্যালকুলেশনের আধুনিক পদ্ধতি সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, এনবিআরের মাধ্যমে জাকাত আদায়সহ জাকাতদাতাকে কর রেয়াত সুবিধা দেয়ার প্রচলন প্রশংসনীয়। এ নিয়ম বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং জাকাত ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের বেলায়ও কার্যকর করা যেতে পারে।
এ ছাড়া জাকাত সরকারি বাজেট ব্যবস্থার রিসোর্স মবিলাইজেশনের উৎস হতে পারে, যা সোস্যাল সেফটি নেট প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে ব্যবহার করা যেতে পারে। সর্বোপরি আরো কার্যকরভাবে জাকাতব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য ওয়ার্ল্ড জাকাত ফোরাম, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যেতে পারে। এভাবে প্রচেষ্টা চালালে একসময় জাকাতব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ।

লেখক: ড. মো: মিজানুর রহমান, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক
mizan12bd@yahoo.com

উৎস: দৈনিক নয়া দিগন্ত

প্রকাশ : ১৪ মে, ২০১৯

 


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

ফেইসবুক
টুইটার
ইমেইল

স্বর্ণ এবং রৌপ্যের
বর্তমান বাজার মূল্য

আইটেমের নাম টাকা/ভরি টাকা/গ্রাম
স্বর্ণ ২২ ক্যারেট ৮৭,২৪৭ ৭৪৮০
স্বর্ণ ২১ ক্যারেট ৮৩,২৮১ ৭১৪০
স্বর্ণ ১৮ ক্যারেট ৭১,৩৮৪ ৬১২০
রৌপ্য ২১ ক্যারেট ১,৪৩৫ ১২৩
উৎস / সূত্র: বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি

অনুসন্ধান